বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন
কদমতলী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ফাইজুল হোসেন মুলত ৫৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভোমিক এর জন্য রাজনিতি করতেন। তার নেতা হিন্ধু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় কদমতলী থানার জামাত শিবির সহ ইসলামিক দলের নেতারা ফাইজুল হোসেন এর উপর সবসময় এক ধরনের আক্রোশ নিয়ে থাকতো।
তার আপন চাচা একটি ইসলামিক রাজনৈতিক দলের সমর্থক। তিনি বলেন, যখন থেকে ফাইজুল হোসেন একজন বিধর্মী লোককে (আকাশ কুমার ভোমিক ) নিজের নেতা মনে করে রাজনীতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলো সেদিন থেকেই সে তাকে তার পরিবারের লোক হিসেবে অস্বীকার করেছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফাইজুল হোসেন ২০২৩ সালের আগস্টে দেশ ছেড়েছেন। এলাকাবাসী জানান, যাওয়ার আগে তার উপর ইসলামিক দলের লোকজন হামলা চালিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়ার চেস্টা করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় জানে বেচে ফিরে ফাইজুল। তার কিছুদিন পর তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান। ফাইজুল হোসেনের পরিবার বিষয়টা অস্বীকার করলেও ধারনা করা হয় তার চাচা এই আক্রমনের সাথে জড়িত ছিল।
এলাকাবাসী আরো বলেন, ফাইজুল কদমতলী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। অনেকের ধারণা তাদের পারিবারিক মামলা মোকদ্দমা থাকায় তিনি দেশত্যাগ করেছিলেন। যার আসল কারন এখনো সবার অজানা। ফাইজুল এর দেশত্যাগে এলাকাবাসীর মাঝে এক চরম আন্দদের বন্যা বয়ে নিয়ে আসে। আরো জানা যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পর ইসলামিক রাজনৈতিক দলের লোকজন তার ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। ইসলামি নেতাদের চোখে ফাইজুল একজন দেশদ্রোহী । তাই তারা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ইসলাম বিরোধি। এমন দলের নেতাকর্মীদের ঠাঁই এই বাংলাদেশের মাটিতে হবেনা